Enjoylife Homeopathy

হোমিওপ্যাথিক চিকিতসায় রয়েছে বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের সুন্দর ও স্বাস্থ্য সম্মত সমাধান।

0
নারী পূর্ণাঙ্গতা পায় মা হবার মাঝে। যে নারী মা হওয়ার সুখ লাভ করতে পারে না তার কষ্টের মাত্রা কেউই অনুধাবন করতে পারে না। নারীর মা হতে না পারার অক্ষমতাকে বলা হচ্ছে ‘ বন্ধ্যাত্ব’।
বন্ধ্যাত্ত্বের জন্য নারী যেমন দায়ী হতে পারে, ঠিক তেমনি পুরুষও দায়ী হতে পারে। তবে বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে বন্ধ্যাত্ত্বের চিকিৎসার সুফল নারীরা পাচ্ছেন।
বিয়ের আগে বা পরে নারীপুরুষের মিলনের ফলে শতকরা ৯০ টি ক্ষেত্রে নারী সন্তান সম্ভবা হতে পারে; ১০টি ক্ষেত্রে নারীর সন্তান হয় না। চিকিৎসার মাধ্যমে এই ১০টির মধ্যে আবার ৬/৭টি ক্ষেত্রে সন্তান হয়। এবং বাকি ৩/৪টি ক্ষেত্রে কোন আরোগ্যের লক্ষণ দেখা যায় না।
কখন ‘বন্ধ্যাত্ত্ব নির্ধারণ করা যায়ঃ
দুই বছর বা তার অধিক সময় চেষ্টা করার পরেও গর্ভ ধারনে ব্যর্থ হলে তখন তাকে বন্ধ্যাত্ত্ব বলে। শতকরা ৮% দম্পতি বন্ধ্যাত্বের শিকার হন।
বন্ধ্যাত্ব স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের কারনেই হতে পারে।
প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব
বিবাহের পর সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও যদি নারী গর্ভধারণ করতে না পারে তখন তাকে প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব
বলে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যাত্বঃ
প্রথমবার নারী গর্ভধারণ করার পর যদি পরবর্তীতে সে গর্ভধারণ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যাত্ব বলে।
স্বামীর কারণে বন্ধ্যাত্বঃ
স্বামীর বীর্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শুক্রাণু না থাকলে।
মৃত শুক্রাণু বা শুক্রানুবিহীনবীর্যের কারণে
একটি অণ্ডকোষ বা লুপ্তপ্রায় অন্ড কোষ, জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকলে
অন্ড কোষ প্রদাহ, মাম্পস বা গলা ফুলা রোগের প্রদাহের কারনে
বিকৃত শুক্রাণু থাকলে
যৌন ক্রিয়ায় অক্ষম হলে
শুক্রাণু বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় তাপ বা পরিবেশ অন্ড কোষে না থাকলে
যৌনাঙ্গে যক্ষা, গনোরিয়া প্রভৃতি রোগ থাকলে
টেস্টিকলস হতে সুস্থ্য শুক্রকীট যদি নির্গত না হয়
উপযুক্ত ক্রোমোজোম সৃষ্টি না হলে
বিভিন্ন রোগ থাকার কারণে সন্তান সৃষ্টি ক্ষমতা লোপ পাওয়া
নারীর কারণে বন্ধ্যাত্বঃ
নালীতে কোন( obstruction) থাকা
গনোরিয়া সিফিলিস থাকা
এপেন্ডিসাইটিস, এসাইটিস থাকলে
ওভারীর টিউমার থাকলে
ওভারী ঠিকমত কাজ না করলে
ওভারী হতে সুস্থ্য ওভার সৃষ্টি না হলে
নারীর বেশি বয়সে মেনোপজ বন্ধ হলে
ডিম্ব কোষ ডিম্ব উতপাদনের বয়স না হলে
পুরুষ বীর্য যোনী থেকে বেরিয়ে আসার কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে
বীর্য ঠিক মত যোনীতে প্রবেশ না করলে
বিভিন্ন রোগে থাকার জন্য সন্তান সৃষ্টির ক্ষমতা লোপ পায়।
রোগ নির্ণয়ঃ
বন্ধ্যাত্বের কারণ সঠিক ভাবে নির্ণয় করা বেশ জটিল। রোগের চিকিৎসার পূর্বে সঠিক ভাবে রোগের কারণ টি নির্ণয় করতে হবে।প্রথমে স্বামীর শারীরিক অবস্থা ও বীর্য পরীক্ষা করতে হবে।তার যৌন তন্ত্র, কোষ, নিউক্লিয়াস, ক্রোমোজোম ঠিকমত আছে কি না এবং বীর্য, শুক্র কীট সুস্থ্য কিনা তাও জানতে হবে।
স্বামীর যদি কোন অসুবিধা ধরা না পরে তখন স্ত্রী কে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বয়স অনুপাতে শারীরিক কোন সমস্যা রয়েছে কিনা, মাসিক অনিয়মিত না নিয়মিত, জরায়ু বা যোনীর কোন রোগ আছে কি না, অতিরিক্ত ওজন, ইত্যাদি ভালো করে দেখতে হবে। এছাড়াও বিবাহ পূর্ব ও বিবাহ পরবর্তী জীবনের ইতিহাস জেনে নিতে হবে। এ ছাড়াও নিম্ন লিখিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে বা পূর্বে ছিল কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
যে রোগ আছে দেখতে হবেঃ-
গনোরিয়া
সিফিলিস
টিউবারকিউলোসিস
এপেন্ডিসাইটিস
ডায়াবেটিস
যোনীতে বা জরায়তে অপারেশন
ফাইলেরিয়া
কালা জ্বর
ডেঙ্গু
ডিপথেরিয়া
ম্যালেরিয়া
বসন্ত
হাম
অপুষ্টি
রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত হীনতা
এই সকল বিষয় গুলো ভালোভাবে জেনে সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় করে ঔষধ নির্বাচন করা প্রয়োজন। আনুমানিক ঔষধ সেবনে কাজ হয় না।
বন্ধাত্ব রোগ নির্ণয়ে হোমিও চিকিৎসা ও পরামর্শঃ
হোমিওপ্যাথিতে বন্ধ্য রোগের চিকিতসার জন্য রেপার্টরি রুব্রিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি লক্ষণের আলাদা আলাদা ঔষধ হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে। যারা চিকিৎসা নিতে চান তারা নিজেদের সব লক্ষণ সমূহ নিয়ে অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। ডাক্তারকে আপনার সবকিছু জানালে চিকিৎসা পাওয়া সহজ হবে।
বিজ্ঞান ও বাস্তব সম্মত চিকিৎসা বিধান হোমিওপ্যাথিক চিকিতসায় রয়েছে বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের সুন্দর ও স্বাস্থ্য সম্মত সমাধান।

0 comments:

Post a Comment